বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্কঃ দেশের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থ দিয়ে হাওর এবং প্রত্যন্ত, অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার এসব বিদ্যালয়ের ক্লাশরুম ডিজিটাল ক্লাসরুমে রূপান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের টেলিকম অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী এই প্রকল্প দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণের যাত্রা শুরু হবে। টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্প দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ক্লাসরুম ডিজিটাল হবে। এর মধ্যে ৩০টি স্কুলে শিশুরা বইবিহীন বা অনলাইনে ট্যাবে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের ক্লাসে ডিজিটাল টিভি, আইপিএস ও ইন্টারনেট থাকবে। তাদেরকে ২০২০ সালে ইনটেলের সঙ্গে উইটসা পুরস্কারপ্রাপ্ত ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পাঠদান করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ডিভাইস ও ইন্টারনেট থাকলে শিশুরা বাড়িতে বসে বা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। ২০১৫ সালে বেসরকারিভাবে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চালু হলেও সরকারিভাবে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে পাঠ্য বিষয়ের সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় শিক্ষার সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন এই প্রথম।
উল্লেখ্য, মোবাইল ফোন অপারেটরদের মোট আয়ের ১ ভাগ কেটে নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল গঠন করে বিটিআরসি। ওই তহবিলে বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে।
Leave a Reply